এবারের পূজামণ্ডপও কি হতে চলেছে দর্শকশূন্য??



         উৎসবের খুশিতে করোনার বাঁধা। গতবছর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট। গতবারের মতো এই বছরও পুজো মণ্ডপগুলি 'নো এন্ট্রি জোন'-ই থাকছে, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান, আদালত পুজো মণ্ডপ নো এন্ট্রি জোন রাখার নির্দেশ দিলে আপত্তি করা হবে না। এরপরেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। ফলে এবারের দুর্গাপুজো থেকে কালী পুজো হতে চলেছে দর্শকশূন্য মণ্ডপে। গত বছর ১৯ এবং ২১ অক্টোবর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুজো মণ্ডপগুলিকে 'নো এন্ট্রি জোন' বলে ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। চলতি বছরেও সেই একই বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
         অর্থাৎ ছোট পুজো মণ্ডপগুলিতে উপস্থিত থাকতে পারবেন সর্বাধিক ১৫ জন পুজো উদ্যোক্তা এবং বড় পুজোর ক্ষেত্রে উপস্থিত থাকতে পারবেন সর্বাধিক ২৫ জন পুজো উদ্যোক্তা। যাঁরা মণ্ডপে প্রবেশ করবেন তাঁদের তালিকা আগে থেকে ঠিক করে রাখতে হবে এবং উদ্যোক্তাদের সেই তালিকা দেখাতে হবে। নিয়মিত এই নামগুলি বদল করা যাবে না। প্রতিটি পুজো মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড করতে হবে। ছোট পুজো মণ্ডপগুলির ক্ষেত্রে পাঁচ মিটারের দূরত্বে করতে হবে ব্যারিকেড, বড় পুজোগুলির ক্ষেত্রে সেই দূরত্ব হবে ১০ মিটার। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও দর্শনার্থীরাই।
            
       উল্লেখ্য, পুজোর কথা মাথায় রেখে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ শিথিল করেছিল রাজ্য। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বাড়ান হয়। কিন্তু, ১০ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য।
       
       বিধিনিষেধে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য।
তবে মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধি, স্পষ্ট জানানো হয়েছিল এমনটাই।

Comments

Popular posts from this blog

কৃষ্ণচূড়াও কি ভয়ের কারণ হতে পারে??